যেসময়ে বাড়ী ফিরি আমি অফিস ছুটির পরে শুক্কুরবারে,
ঠিক সেইসময়ে রিক্সো দাঁড়ালো বাড়ীর দরজার ধারে ।
রিক্সোর ভাড়া দিয়ে, এলাম দরজার কাছে মালটাকে কাঁধে নিয়ে;
দরজায় ধাক্কা দিলাম ওকে দু-পায়ের উপর সাবধানে দাঁড় ক’রিয়ে ।
মা দরজা খুলতেই প্রণাম ক’রে ব’লি,
‘দ্যাখো তোমার জন্যে এনেছি এক ডালি…’
মা ব’ললো, ‘অর্জ্জুনকে ব’লতাম মহাভারতের কুন্তী হ’লে –
যা এনেছিস বাছা ভাগ ক’রে নে তোরা পাঁচভায়ে মিলে;
এ অর্জ্জুনের তো নেই আর কোনো ভাই;
থাকার মধ্যে শুধু এক দিদি আর বোন দুই,
তারা বৌদির ভাগ চাইলে তো তোর কোনো আপত্তি নেই ।
দাঁড়া একটু শান্ত হ’য়ে; বরণ ক’রে বৌকে ঘরে নিই ।‘ … …
একটু পরেই এলো মা নিয়ে বরণডালি,
সঙ্গে আমার দিদি মিলি আর বোন তুলি;
মিলি জোর ক’রে মুখ ফুলিয়ে শাঁখ বাজাচ্ছে;
তুলি আর মা আমাদের ঘিরে ঘিরে উলু দিচ্ছে ।
মহা সমারোহে হাত-পা-মুখ বাঁধা বধূ হোল বরণ ।
দিদি বোনেরা ভাবলো, ওরা লুট হয়ে যাবে কখন?
মা বোনেদের বললেন, ‘এবার তোরা যা, পড়া বা সেলাইবোনার কাজে।
নতুন বৌকে নিয়ে খোকন স্ত্রীআচার ক’রবে; পরে পাবি বৌদিকে কাছে।‘
বোনেরা চ’লে গেলে মা আমাকে বললেন ধীরে ধীরে,
‘খোকন বৌমাকে তোর বিছানায় শোয়াও যত্ন ক’রে,
তারপর ওকে ঘরে রেখে বাইরে এসে দাঁড়িয়ো;
আমি আসছি প্রসাদ নিয়ে বলবো কী করণীয়।‘
********
আমি মালটাকে তুলে পাঁজাকোলা ক’রে
বিছানায় শোয়ালাম খুব পরিপাটী ক’রে;
ঘরের দরজা ভেজিয়ে এলুম ঘরের বাইরে,
মা হাজির, দুটো রাজভোগ তার হাতে ভাঁড়ে ।
মা চুপিচুপি ব’ললো, ‘আমার খোকনসোনা,
তুই ওর মুখের থেকে দোপাট্টাটা খুলে নেনা ।
আমি বৌমাকে রাজভোগদুটো খাওয়াবো আদর ক’রে;
যাতে ও মুখ বন্ধ ক’রে চিবোতে ব্যস্ত হ’য়ে পড়ে;
সেই সুযোগে খুলে ওর পায়ের তালাচাবি,
সালোয়ারটা পা থেকে পুরো ছাড়িয়ে নিবি;
সালোয়ারটা একটা হাঁটুতে গিঁট বেঁধে রাখিস ।
ও বেগরবাঁই ক’রলে সালোয়ার ধ’রে টানিস ।
তারপর, আমি চলে যাবো ঘর ছেড়ে;
তুই তখন ওকে খুব আদর ক’রে ধ’রে,
ওর কুমারীত্ব ঘুচিয়ে দিবি জোর ক’রে ।
যেইনা মেয়েটি ওর কুমারীত্ব হারাবে,
পাকাপাকিভাবে তোর বৌ হয়ে যাবে;
ওর বাবা মা কেউ আর ওকে ফিরিয়ে ঘরে নেবে না,
কারণ ওকে আর কারুর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যাবেনা ।
আমি সবসময় নোয়া সিঁদুর পরিয়ে ঘোমটা দিয়ে রাখবো ওকে,
তাহ’লে কেউ লুটে নিয়ে যাবে না বিয়ে-হওয়া মেয়ে বা বৌকে ।‘
একটানা এইপর্য্যন্ত ব’লে মা থামলো,
কথা বলার সুযোগ আমাকে না দিলো,
তারপরে মা দ্রুত ঘরের দরজাটা খুললো,
জোর ক’রে আমাকে ভেতরে টেনে নিলো।
মা বললো কানে কানে, ‘স্বর্গের ঊর্ব্বশী বৌমা আমার;
‘সুভদ্রা’ – আমি আদর ক’রে নাম রেখেছি তার ।
আমার অর্জ্জুনের এই সুভদ্রাহরণের কথা –
এ-নিয়ে কোনোদিন মহাভারত হবে লেখা ।‘
এর পর আমি সুভদ্রার কপালের ঘাম চেখে,
খুলে নিলাম দোপাট্টাটা ষত্নে ওর মুখ থেকে;
বসলো মা ওর মাথার কাছে; শুরু ক’রলো আদর;
গাল, কান, মাথা টিপে বানালো এক পোষা বাঁদর;
ওর মুখে রাজভোগ দিলো ঠেসে ভ’রে,
সুভদ্রা যাতে ঠোঁটদুটো খুলতে না পারে ।
কয়েক ঘণ্টা আগে তেলেভাজা মন ভ’রে পারেনি খেতে;
এতক্ষণের কষ্ট যাচ্ছিল ভুলে ও রাজভোগের মধুর স্বাদে।
এই সুযোগে আস্তে ওর কামিজ তুলে
সালোয়ারের গিঁটটি টেনে দিলাম খুলে;
সালোয়ার কোমর থেকে খুলে নামালাম হাঁটুর নীচে,
সালোয়ারের পায়াদুটো পায়ের সঙ্গেই সেঁটে আছে;
টানাটুনি ক’রে পাজামা গোড়ালি পর্য্যন্ত নামালাম।
কামিজটা হাঁটু পর্য্যন্ত টেনে ওর লজ্জা ঢাকলাম।
চাবি বার ক’রে খুললুম ওর ঘুঙুরের তালা;
আলাদা হ’লো দুটো পায়ের ঘুঙুরের মালা।
সালোয়ার ওর বাঁ পা থেকে নিলাম ছাড়িয়ে;
ডান পায়া ওর ডান পায়ে রইলো জড়িয়ে।
ঘুঙুরদুটো কাছে এনে টিপে দিলাম তালা আবার।
অটুট রইলো শিকল, হাতেপায়ের বাঁধন সুভদ্রার।
‘যত্ন করিস মোর আদরের সুভদ্রাকে’
ব’লে মা বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে ।
আমি গিয়ে বসলাম সুভদ্রার কাছে,
আদর ক’রে বললুম ওর কানে,
‘তুমি এবাড়ীর আদরের বৌ সুভদ্রা!’;
ও বললো, ‘এ বাড়ীর নয়, অন্য বা…’ ।
সুযোগ না দিলাম ওকে কথা শেষ করার -
দোপাট্টা দিয়ে মুখ বেঁধে দিলাম আবার ।
চুমু খেলাম ওর হাতে, চুমু খেলাম ওর গালে,
চুমু খেলাম গলায়, জিভ দিলাম ওর বগলে –
বগলের কাছটায় কামিজটা ভিজে সেঁটিয়ে আছে ওর গায়ে;
ফেঁসে গেল কামিজটা একটু, দুই আঙুল দিয়ে তুলতে গিয়ে;
উচ্ছ্বসিত আমি বলি, ‘ফেঁসে গেছে কামিজ তোমার,
আমার থেকে কতো আলাদা সুন্দর চেহারা তোমার।‘
আরো একটু কাপড়ের টুকরো নিলাম ছিঁড়ে,
কামিজের আর এক ফাঁকে দাঁত দিয়ে কামড়ে।
দিলাম কামিজের গর্ত্তে আঙুল না শুনে কোন বারণ,
ফর্দ্দাফাই ক’রে ছিঁড়ে দিলুম তোমার এই বক্ষাবরণ;
বেরিয়ে পড়লো দুটো নিটোল গোলক,
তোমার বুকের উপর চাঁদের আলোক,
দুটো কিসমিস ভূমণ্ডলের দুটো চূড়ায়,
শরীরে, মনে মোর কিসের ছন্দ জাগায়।
লুটে আনা মাল, তবু মোর মন ভরা সংশয়ে,
পারি না ঠিক ক’রতে কী ক’রবো ওকে নিয়ে।
বৌমা-বৌদি ব’লে মেনে নিয়েছে মা-বোনেরা হাত-পা-মুখ-বাঁধা সুন্দরীকে;
আমাদের চিড়িয়াখানায় কিন্তু আমাকেই পোষ মানিয়ে রাখতে হবে ওকে ।
ফর্দ্দাফাই ক’রে ছেঁড়া ওর পুরো কামিজটা,
ক’রছে না তবু হাত দিয়ে বুক ঢাকার চেষ্টা,
কারণ দুহাতের বালা বাঁধা প্যাডলক দিয়ে;
দেখলাম ওর বুকদুটো একটু পিছিয়ে গিয়ে;
জামাকাপড়ের পুরো খোলস ছাড়িয়ে,
দেখিনি আগে কখনো কোনো মেয়ে ।
বললাম ওকে হাসিমুখে খুলে মুখের বাঁধন,
‘শুনবো এবার তোমার কথা, নাও আমার মন ।
মা ব’লে গেছে ঘুচিয়ে দিতে তোমার কুমারীয়ানা;
তার আগে খুব দরকার মনটা তোমার জানা ।
লুটেছি তোমায় ক’রবো বলে সারাজীবনের ঘরণী,
এসো তার আগে পরস্পরের আস্থার ভিত গড়েনি ।
সেই আস্থা প্রথম দিনেই ভেঙে দিই যদি,
বাধ্য হ’য়ে একই দিকে চলবে বেয়ে নদী ।
সুখে দুঃখে বেদনায় বন্ধুর জীবনে,
তোমার চোখের আলো, প্রেমের সিঞ্চনে,
বিকশিত করো বারংবার ।
হে প্রেয়সী, তব শুভ্র কোমল বদনে,
স্পর্শ ক’রিব তোমার অধরে গোপনে,
হয়তো কখনো আঁধার-গভীর গহনে
দিয়ে যাবো উপহার ।
ধরা দাও বধু মোর হাতে নিজের ইচ্ছায় ।
তোমার কুমারীত্ব ঘোচাতে দাওগো আমায়?
গড়ি আমাদের সংসার ।।‘
উত্তরে বলল সুভদ্রা, ‘কিরীটি, আমি কুমারী নয় ।
এজন্যে যদি না এসে থাকে মনে কোনো সংশয়,
তবে আমাকে নিয়ে করো যা খুশি পরাণ ভরে ।
শিঁটিয়ে ছিলাম এতক্ষণ, বাকরুদ্ধ হ’য়ে ডরে,
কখন খাবে লুটে আনা মালের মেয়েমাংস ছিঁড়ে ।
মুগ্ধ আমি তোমার পৌরুষে, তোমার চেহারায়, কথাবার্ত্তায়, কবিতায়;
লোভ লাগছে তোমাকে দেখে; নাও, আরো কাছে টেনে নাও আমায় ।।‘
পেয়ে সুভদ্রার জবাব, ওর আবাহন
খুলে দিলাম ওর হাত-পায়ের বাঁধন;
নিজেকে আলগা ক’রে দিলাম ছেড়ে
ওর মনের নিবিড় গভীরে, ওর শরীরে।
ওর অন্দরমহলের দরজা ঠিক পাচ্ছিলাম না খুঁজে;
মাথার বালিশটা নিয়ে সুভদ্রা রাখলো পিঠের নীচে,
বললো, ‘এবার দ্যাখো’ । অবিলম্বে লক্ষ্যভেদ অভিসারে,
প্রচণ্ড দাপটে বন্যার স্রোত প্রবেশ করলো কূয়ার গভীরে ।
সুভদ্রা হাঁপিয়ে উঠলো দমকে দমকে - আনন্দে ।
কোনো কথা নেই দুজনের; নিমগ্ন নিবিড় নিঃশব্দে ।
মিনিট পাঁচেক বাদে সুভদ্রা প্রথম কথা বললো,
‘বাথরুমে যাবো ।‘ – আমাকে ঠেলে তুললো ।
‘দাঁড়াও,’, আমি বললাম, ‘প’রে নাও আগে সালোয়ারটা;
কামিজটা খুলে ফ্যালো; ওটা প’রে কিছু আর নেই ঢাকা;
আমার গেঞ্জী ও টী-সার্ট দিচ্ছি তোমার গায়ে;
এগুলো প’রে নামো ঐ সামনের সিঁড়ি দিয়ে;
নামলে সামনেই বাথরুম, এসো কাজ সেরে ।‘
ভেবেছিলুম সুভদ্রা বাথরুমটা সেরে
আমার ঘরেই আবার আসবে ফিরে,
তখন আরো ভালো ক’রে কথা হবে ওর সঙ্গে;
পুরো ঠিকানা নিতে হবে যোগাযোগ করার জন্যে ।
যখন আধঘণ্টা হ’ল একটা গেঞ্জি চড়ালাম গায়ে,
উদ্বেগ নিয়ে ধীরে সন্তর্পণে নামলাম সিঁড়ি দিয়ে ।
ডানপাশে খোলা রান্নাঘর, নেমে সিঁড়ি থেকে,
ব’সে পালং শাগ বাছছে, দেখি সেখানে মাকে;
আমি বললাম, ‘মা, দেখেছ কি সুভদ্রাকে?
বাথরুমে যাবে ব’লে নেমেছিল একটু আগে ।‘
‘দেখেছি বইকি’, মা বললো হেসে উপছে,
এই দ্যাখ না ব’সে বঁটিতে কুটনো কুটছে।‘
লালপাড় শাড়ী পরা এক বৌ, ঘোমটা মাথায়,
দেখি, মার পাশে, বঁটিতে আলুর খোসা ছাড়ায়।
‘তুই তো বেশ নিপুণ এই কাজে;
বৌমার মুখ দেখে গিয়েছি বুঝে।
প’রেছিল কী হতচ্ছাড়া সার্ট আর সালোয়ার;
দিলাম প’রতে ওকে সায়া-ব্লাউজ শাড়ী আর।
একটু পরে তোর বাবা ফিরলে মুখ দেখাবো বৌমার;
ঘরে গিয়ে কাগজ পড়; তোর ওকে আর কী দরকার?
ঠিক রাত্তিরে শোবার একটু আগে পাবি ওকে আবার।‘
Click Follow to receive emails when this author adds content on Bublish
Comment on this Bubble
Your comment and a link to this bubble will also appear in your Facebook feed.